প্রিয় পাঠকবৃন্দ আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আমেরিকা স্টুডেন্ট ভিসা ২০২৪ সালে আশা করা যায় প্রচুর পরিমানে ভিসা হবে। আমেরিকার স্টুডেন্ট ভিসা পেতে হলে অনেক নিয়ম মেনে চলতে হয়। আর ডকুমেন্টস এ কোন প্রকার এদিক সেদিক হলেই অনেক বিপদে পড়তে হবে। তাই আজকের আরটিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ার অনুরধ রইলো।
আমেরিকা কেমন দেশ এটা সম্পর্ক্যে আপনারা সবাই মোটামোটি যানেন। তাই আর বেশি কথা বাড়াবো না। আমেরিকা আপনারা SSC, HSC এবং Bechelor শেষ করার পরেও যেতে পারবেন। আমি নিচে যে কথা গুলো বলবো তা এই তিনটি ধাপের স্টুডেন্ট দের জন্য সমান। তো চলুন বেশি কথা না বাড়িয়ে আমাদের মূল আলোচনা আমেরিকা স্টুডেন্ট ভিসা ২০২৪ নিয়ে সম্পূর্ণ তথ্য আপনাদের সাথে শেয়ার করা যাক
আমেরিকা স্টুডেন্ট ভিসা ২০২৪
এই সেকশনে আমি ভিসা সম্পর্কিত কিছু গূরত্বপূর্ণ তথ্য দিবো। আর এর পরেই আমরা জানতে পারবো কি কি কাগজ পত্র গুছিয়ে রাখতে হবে। তো চলুন আগে গূরত্বপূর্ণ কিছু কথা জেনে নেই। বর্তমান সময়ে আমেরিকার স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে অনেক ধরনের স্কাম হচ্ছে। কিন্তু আপনারা কেউ তা ধরতে পারছেন না।
এখন দেখা যায় অনেক যায়গাতে এডভারটাইসমেন্ট দিচ্ছে IELTS ছাড়া আমেরিকার স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে আমেরিকা যেতে চাইলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন কিংবা বলা থাকে ১০০% নিশ্চিত IELTS ছাড়া আমেরিকা স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়া যাবে।
এখন প্রশ্ন এরা এটা করে কিভাবে? আমেরিকার স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার জন্য সবচেয়ে বেশি গূরত্পূর্ণ যে কাগজটির দরকার সেটি হলো I20। আর এই I20, IELTS ছাড়াও নেওয়া যায়। কিন্তু এই I20 দিয়ে আমার মনে হয় না কেউ এখন পর্যন্ত ভিসা পেয়েছে।
এই সব এজেন্সি করে কি? এরা হচ্ছে আমেরিকার বিভিন্ন ভার্সিটি থেকে I20 নেয় কিন্তু এই ভার্সিটি গুলোর রেঙ্কিং একদমি নেই বললেই চলে। আর উন্নত রাষ্ট্র গুলো আপনার মেধা দেখেই স্টুডেন্ট ভিসার জন্য পারমিশন দিবে। এমনি এমনি দিবে না। তাদের কাছে লিস্ট আছে কোন ভার্সিটির স্টুডেন্ট কেমন হয়ে থাকে। তাই যারা এই সব লোক্লাস ভার্সিটি বা কলেজ থেকে স্টুডেন্ট I20 নেয় তাদের আসলে ভিসা পাওয়ার চান্স নেই বললেই চলে।
আমেরিকা স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা
আমেরিকা স্টুডেন্ট ভিসা ২০২৪ সালের কিছু সাধারন যে রিকোয়েরমেন্টস এর কথা বলবো তা আপনাদের সামনের সময়েও প্রায় একি রকম থাকবে। আপনার একাডেমিক লাইফের রেজাল্ট ভালো হতে হবে। আপনার SSC and HSC এর রেজাল্ট যদি ভালো থাকে তাহলে আপনি সহজেই আমেরিকার ভালো ভালো ভার্সিটিতে চান্স পেয়ে যাবেন।
আর এর পরে যেটা ভালো হতে হবে তা হচ্ছে IELTS এর ভালো একটি স্কোর এবং ইংলিশে ভালো ভাবে কথা বলার মতো যোগ্যতা। আপনি IELTS এ ভালো করলেই বুঝবেন যে আপনার ইংরেজিতে কথা বলার দক্ষতা বেশ ভালো। কিন্তু একটু চর্চা বেশি করে করবেন। যাতে কথা বলার সময় বেশি একটা থামতে না হয়।
আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন। তো চলুন এখন জেনে নেই আমেরিকা স্টুডেন্ট ভিসা ২০২৪ সালে কি কি কাগজপত্র আপনাকে গুছিয়ে রাখতে হবে।
আমেরিকা স্টুডেন্ট ভিসা পেতে কি কি কাগজপত্র দরকার
আমেরিকার স্টুডেন্ট ভিসা পেতে হলে আপনাকে ৩ টি ধাপে প্রায় ২৫ টির মতো ডকুমেন্টস গুছিয়ে রাখতে হবে। আর এই ডকুমেন্টস এর যেকোন একটি ডকুমেন্টস এ ভুল হলেই আপনার ভিসা বাতিল করে দেওয়া হবে। তাই এই ডকুমেন্টস গুলো একটু ভালো করে গুছিয়ে রাখবেন।
২৫ টি ডকুমেন্টস কি কি তা জানার আগে অবশ্যই আমাদের এটি জানা উচিতে যে আমাদের সাধারণত কি কি ভূল হয়ে থাকে।
আমেরিকা স্টুডেন্ট ভিসা ২০২৪ সালের সাধারণ কিছু ভূল
এখানে যে ভূল গুলোর কথা বলবো তা অনেকেই অগ্রায্য করার চেষ্টা করবেন এটা আমি যানি। কিন্তু আপনি কি জানেন! আগের সালে নিচের যত সব ডকুমেন্টস ছিলো আর বাবার যত ডকুমেন্টস ছিলো তার সবকিছুই মিল ছিলো খালি একটা কাগজের সাথে মিল ছিলো না। আর এই কারনেই প্রায় অনেক স্টুডেন্ট দের ভিসা দেওয়া হয়নি। তাই ভালো করে মাথায় রাখবেন নিচের বিষয় গুলোঃ
১। আপনার ডকুমেন্টস এ দেওয়া বাবার নামের সাথে আপনার বাবার ডকুমেন্টস এর নাম যেনো এক থাকে।
২। আপনার সার্টিফিকেট এর সাথে আপনার জন্মনিবন্ধন অথবা ভোটার কার্ডের নামের মিল থাকে।
৩। আপনার NID এর সাথে আপনার পাসপোর্টের মিল থাকতে হবে।
৪। আপনার ডকুমেন্টস থেকে আপনাকে কিছু প্রশ্ন করা হবে তার সঠক উত্তর দিতে হবে।
এই ধরনের ভূল যদি থেকে থাকে আপনার ডকুমেন্টস এ তাহলে এখনি ঠিক করে নিন। তা না হলে কিন্তু ভিসা পাবেন না। আর প্রথম বার কোন কারনে আমেরিকা স্টুডেন্ট ভিসা ২০২৪ সালে পেতে সমস্যা হলে ২০২৫ ছাড়া কিন্তু কোন উপায় নেই।
আমেরিকা স্টুডেন্ট ভিসা পারসোনাল ডকুমেন্টস
আমেরিকা স্টুডেন্ট ভিসা ২০২৪ সালে ভিসা পেতে আপনার নিজের জন্য কি কি কাগজ পত্র গুছাতে হবে তা নিচে ব্যাখ্যা করে দিচ্ছি। সবাই একটু সুন্দর করে পারলে নোট করে নিয়েন।
IELTS: IELTS ছাড়াও আপনি ভার্সিটিতে ভর্তি হতে পারবেন এবং I20 পাবেন। কিন্তু স্টুডেন্ট ভিসা পাবেন কিনা তা জানি না। তাই আপনাদের সবার আগে উচিত হবে আপনার বিভাগীয় শহরে যেয়ে IELTS এর কোর্স টি কমপ্লিট করা। আর মনে রাখবেন ব্যান্ড স্কোর কমছে কম ৬.৫ রাখার চেষ্টা করবেন।
Passport: পাসপোর্ট বানানোর সময় খেয়াল রাখবেন পাসপোর্টটি যেনো ১০ বছর মেয়াদি হয়। আর অনেকেই ভাবতে পারেন যে পাসপোর্ট তো পড়েই বানাতে পারবো। কিন্তু আপনি পাসপোর্ট ছাড়া IELTS এক্সাম দিতে পারবেন না।
Certificate Attestration: আপনি আপনার SSC এবং HSC এর সার্টিফিকেট Education ministry, Law ministry এবং Foreign ministry থেকে Attestration করিয়ে নিবেন। আপনি যদি মাস্টার্স করার জন্য বাহিরে যেতে চান তাহলে আপনি যে পর্যন্ত পড়ালেখা করছেন অর্থাৎ হোনার্স শেষ এর সার্টিফিকেট Attestration করতে হবে।
NID: আপনার NID কার্ড অবশ্যই থাকতে হবে। NID কার্ড না হলে আপনি ভিসা পাবেন না। আর NID কার্ডে কোন প্রকারের ভুল থাকলেও সমস্যা হবে।
পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেটঃ পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট হলো আপনি যে বাংলাদেশে কোন প্রকার ক্রাইম এর সাথে যুক্ত না কিংবা ক্রাইম করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন কিনা তার প্রমাণ পত্র। এটি মাস্ট লাগবেই। পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট কিভাবে পাবো।
ফ্যামিলি সার্টিফিকেটঃ আপনার ফ্যামিলি মেম্বারদের সবার NID কার্ডের সত্তায়িত কপি রাখতে হবে। আর যাদের NID কার্ড নেই তাদের জন্মনিবন্ধন রাখতে হবে। আর আপনার বাবার বা বড় ভাই থাকলে তার পাসপোর্ট করে জমা দিতে হবে।
আমেরিকা স্টুডেন্ট ভিসা ২০২৪ সালে আপনার স্পন্সর এর ডকুমেন্টস
আমেরিকা স্টুডেন্ট ভিসা ২০২৪ সালের ইন্টেকে ভিসা পেতে হলে আপনাকে অবশ্যই আপনার স্পন্সর এর কাগজগুলো গুছিয়ে রাখতে হবে। এগুলো জমা দিতে হবে এম্বাসিতে ভিসা নেওয়ার সময়।
এখানে স্পন্সর আপনার বাবাও হতে পারে। অর্থাৎ আপনার বাহিরে যাওয়ার ক্ষেত্রে কে কে সাহায্য করতিছে অর্থ দিয়ে তাদের কে আপনার স্পন্সর হিসাবে ধরা হবে। এখন বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় যে আপনার বাবাই আপনার সব খরচ বহন করছে, তাহলে আপনার স্পন্সর হিসেবে আপনার বাবার ডকুমেন্টস দিতে হবে।
টিন সার্টিফিকেটঃ আপনার স্পন্সর এর একটি টিন সার্টিফিকেট বনাতে হবে। টিন সার্টিফিকেট এ কোন ভূল থাকে না যেনো। এটি অনলাইনেই বানানো যায়। একটু ঘাটাঘাটি করলেই বের করতে পারবেন।
ট্রেড লাইসেন্সঃ আমেরিকা স্টুডেন্ট ভিসা ২০২৪ সালে ভিসা পেতে হলে যদি কোন স্পন্সর এর ব্যাবসায় থাকে তাহলে তার ট্রেড লাইসেন্স অবশ্যই দিতে হবে।
ব্যাংক স্টেটমেন্ট এবং সোল্ভেন্সিঃ ব্যাংক একাউন্ট এর বয়স সর্বনিম্ন ৬ মাসের হতে হবে। আর সোল্ভেন্সি এর ব্যাবারে বলা হয়েছে ২৪০০০ ডলার অর্থাৎ ২৪,০০,০০০ লক্ষ টাকা থাকতে হবে।
ফেমিলি মেম্বারদের NID কার্ড লাগবেঃ স্পন্সর এর ফ্যামিলি মেম্বার সবার NID কার্ড এর কপি জমা দিতে হবে।
ফাইনালশিয়াল এফিডোফিডঃ ফাইনালশিয়াল এফিডওফিড যত ভালো হবে ততই আপনার ভিসা পাওয়ার চান্স বেরে যাবে। তাই আপনাকে একটি ভালো উকিল ধরে এই কাগজটি রেডি করতে হবে।
টেক্স এবং টেক্স রিটার্ন সার্টিফিকেটঃ এই কাগজটিও আমেরিকা স্টুডেন্ট ভিসা ২০২৪ সালে ভিসা পেতে অনেক সাহায্য করে। আপনি যদি আপনার স্পন্সর এর সঠিক টেক্স এবং টেক্স রিটার্ন সার্টিফিকেট দেখাতে পারেন তাহলে তারা ফাইনালশিয়াল টপিক নিয়ে বেশি একটা প্রশ্ন করবে না আপনাকে।
সোর্স অফ ফান্ডঃ সোর্স অফ ফান্ড হচ্ছে এমন একটি ডকুমেন্টস যেখানে আপনি আপনার স্পন্সর এর কাছ থেকে যে টাকা নিচ্ছেন তার একটি প্রমাণ।
সোর্শ অফ ইনকামঃ আপনার স্পন্সর এত টাকা কোথা থেকে পেলো তার একটি প্রামণ পত্র। সে কি কাজ করে তাও এখানে উল্লেখ রাখতে হবে।
স্পন্সর এর পাসপোর্টঃ আর সবার শেষে একচুয়ালি সবার আগেই আপনি স্পন্সর এর পাসপোর্ট এর একটি কপি রাখবেন। তাহলে তারা আগে আপনার স্পন্সর এর সম্পর্ক্যে যানতে পারবে।
আমেরিকা স্টুডেন্ট ভিসা ২০২৪ এর ভার্সিটিতে কি কি লাগবে
আপনি আমেরিকা স্টুডেন্ট ভিসা ২০২৪ সালে ভিসা পেতে হলে আপনাকে IELTS এবং কাগজগুলো গুছানোর পরে, আপনাকে আপনার ভার্সিটির ডকুমেন্টস গুছাতে হবে। আমি এখানে দুই ভাবে ডকুমেন্টস গুলোর কথা বলবো।
ভার্সিটিতে কি কি কাগজ জমা দিতে হবে।
১। আপনি যখন ভার্সিটিতে আবেদন করবেন তখন আপনাকে আপনার SSC এবং HSC এর সার্টিফিকেট এর ফটো ও মার্কশিটের ফটোকপি। আর আপনার IELTS এর রেজাল্ট এর ফটো দিতে হবে।
২। আর এরপরে আপনাকে আরো কিছু তথ্য দিতে হবে। আর এই তথ্য গুলো হলো আপনার NID কার্ড এবং police clearance সার্টিফিকেট।
ভার্সিটি আমাদের কি কি কাগজ দিবে।
১। ভার্সিটি যদি আমাদের ভর্তি নিতে ইচ্ছুক হয় তাহলে আমাদের কে একটি ওফার লেটার পাঠাবে। ওফারলেটারটি আপনাকে এক্সেপ্ট করতে হবে।
২। এর পরে ভার্সিটি থেকে আপনাকে ভর্তি কনফর্মিশন এর জন্য একটি ডকুমেন্টস দিবে।
৩। এই ডকুমেন্টস এর সাহায্যে আপনাকে প্রথম সেমিস্টার এর ৬ মাসের বেতন প্রদান করতে হবে ব্যাংক এর মাধ্যমে।
৪। আপনার সেমিস্টার ফি দেওয়া হয়ে গেলে আপনাকে ভর্তি কনফর্ম এর একটি ডকুমেন্টস দেওয়া হবে। যে আপনি সম্পূর্ণ রূপে তাদের ভার্সিটির একজন স্টুডেন্ট।
বিঃদ্রঃ অনেক সময় দেখা যায় আপনি কোন ভার্সিটিতে সেমিস্টার ফি দেওয়ার পরে আপনার ভিসা হয় না। তখন কি আপনি আর ওই সেমিস্টার ফি ফেরত পাবেন। যদি সেমিস্টার ফি না পান তাহলে তো টাকা গেলো। তাই আপনাদের আগে ভার্সিটিতে কথা বলে নিতে হবে যে আপনার সেমিস্টার ফি কি তারা ফেরত দিবে কিনা।
আমেরিকা স্টুডেন্ট ভিসা খরচ ২০২৪
আমেরিকা স্টুডেন্ট ভিসা ২০২৪ সালের আমেরিকা স্টুডেন্ট ভিসা খরচ ক ত এটা আপনাদের অবশ্যই যানা উচিত। আমি মূলত বুঝাতে চেয়েছি যে আপনাকে কত টাকা খরচ করতে হবে স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার জন্য এবং ভিসা পেয়ে আমেরিকা যেতে।
আমেরিকা স্টুডেন্ট ভিসা খরচ ২০২৪ সালে কত টাকা হতে পারে, তা সব কিছুর খরচ একসাথে করলে বুঝবেন না। আমি আলাদা আলাদা করে বর্ননা করে দিচ্চি।
১। আমেরিকা স্টুডেন্ট ভিসার পারসোনাল ডকুমেন্টসঃ আমেরিকার স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আপনাকে যে পারসোনাল ডকুমেন্টস গুছাতে হবে তার জন্য আপনাকে প্রায় ৫৫,০০০ টাকার মতো খরচ হতে পারে।
২। আমেরিকা স্টুডেন্ট ভিসার স্পন্সর এর খরচঃ আপনার স্পন্সর এর কাগজ পত্র গুছাতে বেশি একটা খরচ হবে না। এই ধরুন ১৫,০০০ টাকার মতো। কিন্তু আপনার স্পন্সর যদি ২৪,০০,০০০ টাকার ব্যাংক স্টেটমেন্ট বের করতে না পারে। তাহলে তো আপনাকে ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে হবে। আর এই ঋণের জন্য প্রায় আপনাকে ৬০,০০০ টাকার মতো খরচ করতে হবে।
৩। আমেরিকা স্টুডেন্ট ভিসা ২০২৪ এর ভার্সিটির ডকুমেন্টস খরচঃ ভার্সিটির প্রথম খরচ হবে ১০,০০০ টাকা এবং এর পরে তো আসল খরচ আর সেটা হলো টিউশন ফি। আর এই টিউশন ফি তো আপনার হাতে। অর্থাৎ আপনি যদি ভালো একটি স্কোলারশীপ নিতে পারেন তাহলে তো আপনাকে বেশি টাকা খরচ করতে হবে না। তাও যদি বলি ৩,০০,০০০ টাকার মতো গুছিয়ে রাখতে হবে।
আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন। আর যদি কোন সমস্যা বা প্রশ্ন থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট বক্সে একটি কমেন্ট করবেন।
আমেরিকা স্টুডেন্ট ভিসায় বেতন কত টাকা
আমেরিকা স্টুডেন্ট ভিসা ২০২৪ সালে আপনি যদি আমেরিকা পড়ালেখার জন্য যান। তাহলে আপনার যানা উচিত আপনি কি কি কাজ করতে পারবেন। আসলে আপনি স্টুডেন্ট ভিসায় যেয়ে ওন ক্যাম্পাস ছাড়া কোন কাজ করতে পারবেন না। অর্থাৎ আপনাকে আপনার ভার্সিটির ক্যান্টিং কিংবা অন্যান্য কাজে হেল্প করতে হবে।
আমেরিকায় মূলত ঘন্টা প্রতি বেতন হিসেব করা হয় আর আপনি ১ ঘন্টা কাজ করে ১৫$ পাবেন। আর আপনি স্পতাহে ২০ ঘন্টা করে কাজ করার সুযোগ পাবেন। তাহলে ৪ সপ্তাহে আপনি মোট ৮০ ঘন্টা কাজ করতে পারবেন।
এতে করে দেখা যায় যে আপনি মাসে প্রায় (৮০*১৫) = ১২০০$ ইনকাম করতে পারবেন । আর যদি আপনি বাহিরে অন্য কোথাও কাজ করতে চান তাহলে তা ইল্লিগাল। এতে দেখা যায় আপনাকে হয়তো তারা ১২$ করে দিবে ঘন্টা প্রতি।
আশা করি আপনারা ভালো ভাবে বুঝে গেছেন কত টাকা ইনকাম করতে পারেন আমেরিকায় স্টুডেন্ট ভিসায় এসে। আর যদি কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে কমেন্ট বক্স তো আছেই।
আমেরিকায় কি নিজের সেমিস্টার ফি নিজেই দিতে পারবো
আমেরিকা স্টুডেন্ট ভিসা ২০২৪ সালে আপনি আমেরিকা আসতে চাইলে আপনার এই টপিকটি জানা একান্তই গূরত্বপূর্ণ। আসলে আপনি কাজ করে যে টাকাটা ইনকাম করবেন তা আপনার থাকা খাওয়ার খরচেই বেশিরভাগ চলে যাবে। আর বাকি যে টাকা থাকবে তা দিয়ে আসলে আপনি টিউশন ফিস দিতে পারবেন না।
এখন একটাই উপায় ইল্লিগাল উপায়ে বাহিরে রেস্টুরেন্ট অথবা কোথাও কাজ করা। এতে করে আপনি মাস শেষে যে টাকা পাবেন তা দিয়ে আপনি আপনার টিউশন ফিস দিতে পারবেন।
কিন্তু ভাই যাবেন তো লেখাপড়া করতে এখন খালি যদি কাজ করে তাহলে পড়বেন কখন। তাই যাওয়ার আগে অবশ্যই একটু চিন্তা ভাবনা করে বাড়ি থেকে নামবেন।
সর্বোশেষ, আশা করি আপনি ভালো করেই বুঝতে পেরেছেন সম্পূর্ন বিষয়। আর যদি কোন প্রাকেরর প্রশ্ন মনে জেগে উঠে তাহলে নিচেই দেখেন একটি কমেন্ট বক্স রয়েছে। চাইলেই কিন্তু আপনার প্রশ্নটি করে ফেলতে পারেন। তো আমেরিকা স্টুডেন্ট ভিসা ২০২৪ সালের সম্পূর্ণ নিয়ম কানুন তো জেনে গেলেন এখন দেখেন চিন্তা ভাবনা করে কি করবেন।
FAQ: আমেরিকা স্টুডেন্ট ভিসা ২০২৪
আমেরিকা স্টুডেন্ট ভিসা ২০২৪ এর সর্বনিম্ন বয়সীমা কত?
উত্তরঃ আমেরিকা স্টুডেন্ট ভিসা ২০২৪ এর সর্বনিম্ন বয়সীমা হলো ১৮ বছর।
বাংলাদেশ থেকে আমেরিকার দূরত্ব কত?
উত্তরঃ বাংলাদেশ থেকে আমেরিকার দূরত্ব ১৩,২১৯ কিলোমিটার।
বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যেতে কত সময় লাগে?
উত্তরঃ বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যেতে প্রায় ৩০ ঘন্টার মতো সময় লাগে।