প্রিয় পাঠকবৃন্দ আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। বর্তমানে আমাদের দেশের মানুষজন, বিশেষ করে যারা একটি ইউরোপিয়ান দেশে ঢুকতে চান। তাদের জন্য পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৪ এর এই আবেদনটি হতে পারে একটি লাইফ চেঞ্জিং বিষয়। পর্তুগাল অভিবাসিদের জন্য সর্গরাজ্য। আপনারা তো বুঝেই গেছেন, আজকে আমি পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৪ এর সকল তথ্য আপনাদের কাছে শেয়ার করবো। তো মনোযগ সহকারে তথ্য গুলো পড়েন।
পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৪ সম্পর্কে আসল তথ্য জানার আগে আমাদের কিছু বিষয় জেনে রাখা খুবি জরুরি। তো আগে আমি কিছু জরুরি বিষয় নিয়ে লিখছি, আপনারা একটু কষ্ট করে পড়ে নিন। তাহলে আপনাদের মনে একটু বেশিই আশা জাগবে। আর যারা একটু ভয়ে আছেন তাদের ভয়ও দূর হয়ে যাবে।
কি এই জরুরি বিষয় ? আসলে পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৪ সালে আপনি যদি পর্তুগালে ঢুকতে পারেন তাহলে আপনি ২ থেকে ৩ মাসের মধ্যেই পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করতে পারবেন। আর এর থেকেও সবথেকে বড় কোথা হলো পর্তুগালে বাংলাদেশিদের নাগরিকত্ব সবচেয়ে দ্রুত দেওয়া হয়, এটা অনেক আগে থেকেই হয়ে আসছে আর পুরো সত্ত কথা এটা। আর বাংলাদেশের নাগরিকদের সবথেকে বেশি সম্মান আর সব বিষতে একটু বেশি বেশি ছার দেওয়া হয়। এখন তো আপনাদের মনে প্রশ্ন আসতে পারে এর কারণ কি?
এর কারণ হলো আমরা বর্তমানে যে দেশটিতে বসবাস করছি আর বাংলাদেশ নাম দিয়েছি এই দেশটি সর্বপ্রথম পর্তুগাল আবিষ্কার করে। কি এটা আগে জানতেন নাকি কমেন্টে বইলেন।
পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৪
পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৪ সালে মূলত দুই টাইপের ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। কি কি ভিসা বা টাইপগুলো হলোঃ
১। টেম্পরারি ভিসা, এই ভিসার ডেটলাইন থাকে ৯০ দিন পর্যন্ত।
২। লং টাইম ভিসা, এই ভিসার টি এক বছরের বেশি সময়ের জন্য।
পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৪ সালের টেম্পরারি ভিসার মধ্যে কি কি কাজ আছে তা তো আপনাদের যানার দরকার আছে। কাজ গুলো কি তা জেনে নেই।
১। এগ্রিকালচারাল, লাইভস্টক, হান্টিং, ফরেস্ট্রি এবং ফিসিং।
২। হসপিটালিটি এবং রেস্টুরেন্ট।
৩। ফুড, লিকার এবং টোবাকো।
৪। কন্সট্রাকশন।
৫। লেন্ড ট্রান্সপর্ট।
আর এর বাইরে প্রায় সব কাজগুলোই হলো লং টাইম ভিসার জন্য। এখন তো জেনে গেলেন যে কোন ভিসার জন্য বা কাজের জন্য আপনি এপ্লাই করবেন।
পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৪ আবেদন করার কথা চিন্তা করলে অবশ্যই আপনি একটি ভালো কোন এজেন্সির সহযোগিতা নিবেন। যে সকল এজেন্সি গুলা অনেক নামি দামি আর কোন বেড রেকর্ড নেই। কারণ পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়া যেরকম সহজ সেরকম একটু পেচানো। তাই ঝামেলা না করে ভালো হবে এজেন্সির সহযোগিতা নেওয়া। তাহলে আমি এখন কি বলবো এখানে। হ্যা! অনেক কিছুই বলবো। এজেন্সির কাছে যাওয়ার আগে আপনাদের অনেক বিষয়েই সঠিক তথ্য রাখতে হবে।
আরো অনেক কিছু জানার আছে সব কিছু যদি যানার ইচ্ছা থাকে তাহলে লিঙ্কে এ ক্লিক করে দেখে আসুন আমি আগে থেকেই লিখে রেখেছি। পর্তুগাল যাওয়ার সহজ উপায় ওয়ার্ক পারমিট ভিসা।
পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৪ আবেদন
পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৪ আবেদন এর প্রথম পর্যায়ে আপনাকে একটি ওয়ার্ক পারমিট এর জন্য বা নুলস্তা পাবার জন্য আবেদন করতে হবে। নুলস্তা হলো কাজ করার জন্য পারমিশন, এটা ছাড়া আপনি ভিসা পাবেন না। এখন নুলস্তা পাবেন কিভাবে। আপনি যে এজেন্সির সাথে কথা বলবেন, তারা আপনার হয়ে পর্তুগালে বর্তমানে যারা স্থায়ী ভাবে আছেন তাদের মাধ্যমে যে যে কোম্পানিতে চাকরির ওফার চলছে সেখানে আবেদন করবেন।
আবেদন করলে সেই কোম্পানি যদি আপনাকে চাকরি দেয় তাহলে তারা আপনাকে একটি ওফার লেটার পাঠাবে। আর মনে রাখবেন অফার লেটারটি অবশ্যই কমছে কম ১ মাসের চাকরির হতে হবে। তা না হলে আপনি ভিসা পাবেন না। আর এখন আপনি এই অফার লেটারটি পেলে পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৪ সালের সবথেকে বড় কাজটি করা হয়ে যাবে। এর পরে আপকে অফার লেটারটির সাথে কিছু কাগজ নিয়ে পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৪ এর জন্য প্রাথমিক আবেদন করতে হবে। এই আবেদনটি এজেন্সির লোকেরাই করে দিতে পারবে, তাও আমি কিছুটা দেখিয়ে দিচ্ছি।
আগে জেনে নিন পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৪ আবেদনের জন্য কি কি কাগজ লাগবেঃ
১। একটা অফার লেটার, অফার লেটার কিভাবে পাবেন তা উপরেই বলে দিয়েছি।
২। পাসপোর্ট এর দরকার। আর সাধারণত ৬ মাসের মতো পাসপোর্ট এ মেয়াদ থাকলেই হয় কিন্তু পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আপনাকে সর্বনিম্ন ১ থেকে ১.৫ বছরের মতো মেয়াদ রাখতে হবে।.
৩। ইউরোপিয়ান স্টান্ডার্ডের ছবি। ইউরোপিয়া স্টান্ডার্ট বলতে ৩৪*৪৫ সাইজ।
৪। ইউরোপিয় স্টান্ডার্ট মানের CV।
৫। মেডিকেল ইন্সুরেন্স সার্টিফিকেট। এই সার্টিফিকেট টি অবশ্যই ভালো ভাবে চেক করে নিবেন।
এগুলো মধ্যে সবগুলোই আপনাকে এজেন্সি ঠিক করে দিতে পারবে। তাই একটি ভালো এজেন্সির সাথে কোথা বলেন। এখন জানবো পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৪ আবেদন শেষে কি করতে হবে। আবেদন শেষে আপনাকে এপোয়েন্টমেন্ট বুক করতে হবে আপনার ভিসার জন্য। তো চলুন জেনে নেই কিভাবে কি করতে হবে।
আপনারা যাতে পুরপুরি বুঝতে পারেন তার জন্য আমি একটি ওয়েব সাইট দিয়ে দিচ্ছি একটু কষ্ট করে দেখে নিবেন। পর্তুগাল ভিসা।
পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৪ এপোয়েন্টমেন্ট
পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৪ এপোয়েন্ট সংক্রান্ত বিষয়ে বর্তমানে মোটামুটি ভালোই ঝামেলা আছে। তার আগে আপনাদের এই ঝামেলার সম্পর্কে ভালো ভাবে জানতে হবে। আমি আগেই লিখে দিয়েছি তাই বার বার লিখলাম না আমি দিয়ে দিচ্ছি আপনারা একটু পরে নিয়েন। আরও পড়ূন এর নিচ থেকে পরিয়েন। পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৪ এপয়েন্টমেন্ট।
এখন তো বুঝছেন যে কি বড় একটি ঝামেলা আসলে পর্তুগালের ভিসা পাওয়ার জন্য এপোয়েন্টমেন্ট নেওয়া। তাই সবকিছু এজেন্সির সাথে কথা বলে আগে থেকেই ঠিক করে রাখবেন। আশা করি আপনারা সব কিছু ভালো ভাবেই বুঝতে পেরেছেন। তো চলুন এর পরে কি করতে হবে তা জেনে নেওয়া যাক।
আর কিছু কথা আপনাকে অবশ্যই পুলিশ ক্লিয়ারেন্স আগে থেকে রেডি করে রাখতে হবে। পুলিশ ক্লিয়ারেন্স না নিয়ে এপোয়েন্টমেন্ট এ গেলে আপনাকে ভিসা জীবনেও দিবে না। তাই আগে থেকেই রেডি করে রাইখেন।
পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৪ পাওয়ার পরে কি করণীয়
ভিসা পাওয়ার পরে এখন তেমন কোন আর কাজ নেই, এখন আপনি সুন্দর করে আপনাকে রেডি করে রাখেন আর কোম্পানি যেদিন জয়েন দিতে বলবে তারা আগে প্লেনের টিকেট কেটে রেডি হয়ে থাকেন। আর একটি কোথা হয়তো আপনারা অলরেডি যেনে গেছেন, পর্তুগাল ভিসা পাওয়ার সাথে সাথে আপনার পর্তুগাল লিগাল স্টাটাস চালু হয়ে যাবে। তাই আপনাকে এতো তারাতারি যাওয়ার চিন্তা করতে হবে না। কারণ আপনি বাংলাদেশে থাকলেও আপনার পর্তুগালে থাকার রেকর্ড উঠবে। এতে আপনি যেয়েই কোম্পানির সাহায্যে রেসিডেন্স এর জন্য এপ্লাই করতে পারবেন।
সর্বোশেষ, আশা করি যে আপনাদের যা যানার দরকার ছিলো তা জেনেছেন। এই রিলেডেট কোন প্রকারের প্রশ্ন থাকলে অবশ্যই কমেন্টে বলবেন। আর সবসময় ভুয়া এজেন্সির কাছ থেকে দূরে থাইকেন। আর কোন ভূল হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেইখেন। কোন প্রকারের প্রশ্ন বা হেল্প লাগলে ওয়েব সাইটের কন্টাক্ট ফরমে যেয়ে আমার সাথে কন্টাক্ট করে নিবেন। সবাইকে ধন্যবাদ পোস্ট টি শেষ পর্যন্ত মনোসগ সহকারে পরার জন্য।
FAQ
Q1. পর্তুগালে বাংলাদেশিদের বেতন কতো?
Ans: পর্তুগালে একজন বাংলাদেশিদের আয় বছরে প্রায় ২০ থেকে ৩০ লাখ টাকা।
Q2. পর্তুগালে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা কত প্রকার?
Ans: পর্তুগালে ওয়ার পারমিট ভিসা ৫ প্রকারের।
Q3. পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় যাওয়ার কত দিন পরে নাগরিকত্বর জন্য আবেদন করা যায়?
Ans: পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় পর্তুগাল গেলে সবচেয়ে কম সময়ে নাগরিকত্ব পাওয়া যায়। এই ধরুন সব ঠিক ঠাক থাকলে ২-৩ মাস সময় লাগবে।
1 thought on “পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৪”