প্রিয় পাঠকবৃন্দ আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আজকে চলে আসলাম আপনাদের সামনে আরো একটি ভিসা সম্পর্কিত ইমপর্টেন্ট খবর বা তথ্য নিয়ে। আজকে পর্তুগাল যাওয়ার সহজ ৩ টি উপায় ২০২৪ নিয়ে খুবি দরকারি কিছু কোথা লিখবো। আপনারা অনেকি জানেন যে পর্তুগাল ইউরোপিয় দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে অভিবাসন প্রিয় একটি দেশ। এখান কার অভিবাস এর সংখ্যা অনেক। তাই আপনারা মনোযগ দিয়ে পড়লে আজকে পর্তুগাল যাওয়ার সহজ ৩ টি উপায় ২০২৪ সালে কি কি তা জানতে পারবেন।
এখন তো অনেক বেশি জানার ইচ্ছা হচ্ছে যে, কি এই পর্তুগাল যাওয়ার সহজ ৩ টি উপায় ২০২৪ সালে তাই না। সমস্যা নাই আমি বেশি কথা বারাবো না। পর্তুগাল যাওয়ার সহজ ৩ টি উপায় ২০২৪ এর অন্তর্ভূক্ত হলো ১। পর্তুগাল টুরিস্ট বা ভ্রমন ভিসা, ২। পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিট ভিসা, ও ৩। পর্তুগাল স্টুডেন্ট ভিসা। তো চলুন যেনে নেই কেনো কেনো এই তিনটি পর্তুগাল ভিসা এতো বেশি সহজ আর গুরত্বপূর্ণ। যদিও এই তিনটি ভিসায় সবসময় বেশি লোক বাংলাদেশ থেকে পর্তুগাল যায়।
আপনারা একটু পর্তুগাল বাংলাদেশি এম্বাসির ওফিসিয়াল ওয়েব পেজ এ যেয়ে ঘুরে আসুন, তাহলে নিচের লিখা গুলে পড়ে বেশি সুবিধা পাবেন। পর্তুগাল ভিসা।
পর্তুগাল যাওয়ার সহজ ৩ টি সহজ উপায় ২০২৪
অলরেডি আপনারা জেনে গেছেন যে কি কি এই তিনটি ভিসা, আমার আর বলার দরকার নেই। তাই আমি তিনটি ভিসা নিয়ে সুন্দর করে বিস্তারিত আলোচনা করে দিচ্ছি। আপনারা একটু মনোযোগ সহকারে পড়ূন। তাহলে আর আপনাদের মনে কোন প্রকার ভয় বা সংশয় থাকবে না। তো চলুন দেখে নেইঃ
পর্তুগাল টুরিস্ট ভিসা বা পর্তুগাল ভ্রমণ ভিসা
পর্তুগাল টুরিস্ট ভিসায় যদি আপনারা আসতে পারেন তাহলে অনেক সুবিধা আছে। এখনকার পর্তুগালের নিমনানুযায়ী পর্তুগালে আপনি ৬ মাস থাকলেই রেসিডেন্সের জন্য আবেদন করতে পারবেন। দেখা যায় যে ৬ মাসের জায়গায় এখন প্রায় ১ থেকে ১.৫ বছর সময় লাগতে পারে। কিন্তু আপনারা খুব সহজেই পর্তুগালের টুরিস্ট ভিসা পেয়ে যাবেন। বাংলাদেশ থেকে প্রায় মানুষ এখন পর্তুগালে টুরিস্ট ভিসা নিয়ে যেয়ে স্থায়ী ভাবে থাকা শুরু করছেন।
আরও পড়ূনঃ ইতালি কৃষি ভিসা ২০২৪ আবেদন ফরম পূরণ করার নিয়ম
তাই আপনারাও একটু চিন্তা করে ভালো কোন কন্সাল্টেশন এর সাথে কথা বলে আরো ভালো ভাবে কথা বলে যেনে নিবেন যে কিভাবে কি করতে হবে। দেখা যায় ওনারাই আপনার ভিসার আবেদন করে দিতে পারবে সঠিক ভাবে।
পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিট ভিসা
দ্বিতীয় যে ভিসা তা হলো পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিট ভিসা। এই ভিসা নিয়ে অনেক বাংলাদেশি বর্তমানে পর্তুগালে পার্মানেন্ট ভাবে বসবাস করছেন। তাদের পর্তুগালের পাসপোর্ট ও হয়ে গেছে। কিন্তু পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিতে একটু সমস্যার সম্মূখিন হতে হচ্ছে সবাইকে।
আসলে কি কি সুবিধা আছে পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে পর্তুগাল গেলে। সব চেয়ে বড় সুবিধা হলো আপনি ভিসা পাওয়ার পর যখন পর্তুগালে ঢুকবেন, ঢুকার ঠিক ১ থেকে ২ মাসের মধ্যে আপনি পাসপোর্ট বা রেসিডেন্স এর জন্য আবেদন করতে পারবেন। আর আপনি এই আবেদন নিজে নিজে করতে হবে না, আপনি যে কোম্পানির মাধ্যমে যাচ্ছেন সেই কোম্পানিই আপনাকে রেসিডেন্স পাওয়ার ব্যাবস্থা করে দিবে। কোন ঝামেলা ছারাই পর্তুগালের পাসপোর্ট পেয়ে যাবেন। আর একটি সুবিধা হলো আপনি যেদিন ভিসা পাবেন সেদিন থেকেই আপনার পর্তুগালের লিগাল স্টাটাস চালু হয়ে যাবে, আপনার পর্তুগাল যাওয়ার আগে থেকেই। যা অন্য কোন ভিসার ক্ষেত্রে আপনি পাবেন না।
আরও পড়ূনঃ ইতালি স্পন্সর ভিসা ২০২৪ আবেদন।[complete info]
এখন বলি কি কি সমস্যার সম্মূখিন হতে হবে বা হচ্ছে তা বলছি এখন। সমস্যা মূলত বেশি না একটি কিন্তু ভালোই প্যারা দেয়। আপনি পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিটের জন্য আবেদন তো বাংলাদেশেই বসে করতে পারবেন কিন্তু আপনারা এপোয়েন্টমেন্ট বাংলাদেশে হবে না। এটাই সবথেকে বর একতি ঝামেলা। আপনি ভিসার জন্য এপ্লাই করার পরে আপনাকে একটি এপোয়েনমেন্ট নিতে হবে ভারতের দিল্লিতে। আর সেখানে এখন এপয়েনমেন্ট অনেকেই পাচ্ছে না। আর সঠিক ভাবে আপনি এপয়েনমেন্ট না পেয়ে ভারতে তো আর যাওয়া হম্ভব না। কিন্তু একবার আপনি ভারতের দিল্লিতে এপয়েন্টমেন্ট পেয়ে গেলে বুঝবেন আপনার ভিসা পাওয়ার সম্ভবনা অনেকটাই বেশি। কোন মেজর ইসসু ছাড়া ভিসা বাতিল হয়না।
পর্তুগাল যাওয়ার সহজ ৩ টি উপায় ২০২৪ সালে কি কি তার তো ২ টা পদ্ধতি দেখে নিলেন। এবার পর্তুগাল যাওয়ার সহজ ৩ টি উপায়ের তৃতীয় নাম্বার উপায় টা জেনে নেই।
পর্তুগাল স্টুডেন্ট ভিসা
পর্তুগাল যাওয়ার সহজ ৩ টি উপায় ২০২৪ সালের তৃতীয় নাম্বার উপায় টি হলো স্টুডেন্ট ভিসা। স্টুডেন্ট ভিসায় পর্তুগাল গেলে আপনি রেসিডেন্সিয়াল এর ক্ষেত্রে বেশি একটা সুবিধা পাবেন না। তবে আপনি দীর্ঘ সময়ের জন্য একটি ভিসা পাবেন, ধরুন চার বছর থেকে ৫ বছরের মতো। দেখা যায় এতো বেশি সময় নিয়ে একটি দেশে থাকলে সেখান কার কালচার এর সাথে খুব সুন্দর করে মেলা যায়। তখন দেখা যায় ৫ বছর পরে আপনি পুরাপুরি একজন ইউরোপিয়ান হয়েই ওখান থেকে পাসপোর্ট, রেসিডেন্সিয়াল কার্ড আর যত সুবিধা আছে সব কিছুই ভোগ করতে পারবেন।
আর পর্তুগাল স্টুডেন্ট ভিসার ক্ষেত্রে অনেক বড় একটি সমস্যা আছে। এখানেও আপকে ভারতের দিল্লিতে যেয়ে এপয়েন্টমেন্ট দিতে হবে। আর বেশির ভাগ বাংলাদশির ভিসা বাতিল হয়ে যায়। বাতিল হয়ে গেলে একদম না হিসেবে ধরে নিবেন না। কারণ অনেকেই আবার আপিল করে অনেকেই আবার ভিসা পেয়ে গেছে। তাই আপনারা আবার আপিল করে দেখবেন ভিসা দেয় কিনা।
আর যারা স্টুডেন্ট ভিসায় যেতে চান তারা আগে থেকে যে ভার্সিটি বা কলেজে আবেদন করবেন তাদের সাথে ভালো ভাবে কথা বলে নিবেন যে যদি ভিসা না পাওয়া যায় তাহলে টিউশন ফিস ফেরত দিবে কিনা। কারণ অনেক ভার্সিটি মাঝে মাঝে এরকম করে। তাই আগে থেকেই কথা বলে একটা ডকুমেন্ট নিয়ে নিবেন।
সর্বোশেষ, আশা করি আপনারা পর্তুগাল যাওয়ার সহজ ৩ টি উপায় ২০২৪ সালে কি কি তা ভালো ভাবেই বুঝছেন। তো আপনাদের কি মতামত কমেন্ট বক্সে অবশ্যই জানাবেন। আমার মনে হয় পর্তুগাল যাওয়ার সহজ ৩ টি উপায় ২০২৪ এর যে উপায় গুলো আছে তার মধ্যে পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে যাওয়াই সবথেকে ভালো। ওখানে যেয়ে আপনি চাকরিও করতে পারবেন আর পড়তে চাইলে পড়তেও পারবেন।
2 thoughts on “পর্তুগাল যাওয়ার সহজ ৩ টি উপায় ২০২৪”