প্রিয় পাঠকবৃন্দ আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছরই অনেক স্টুডেন্ট উচ্চ শিক্ষার জন্য বিভিন্ন দেশে পরতে যান। তার মধ্যে অস্ট্রেলিয়া স্টুডেন্ট দের জন্য এখন সর্গরাজ্য। তাই আজকে আমি লিখবো অস্ট্রেলিয়া স্টুডেন্ট ভিসা ২০২৪ সালে কি কি করতে হবে।
আশলে অস্ট্রেলিয়া দেশটি হলো ওশেনিয়া মহাদেশের একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র। এই দেশটির মোট আয়তন হলো ৭৬,১৭,৯৩০ বর্গ কিলোমিটার। অস্ট্রেলিয়ার রাজধানির নাম ক্যানবেরা। জাতীয় ভাষা হলো ইংরেজি। দেশটির জনসংখ্যা ২,৫৯,২৫,৬০০ জন।
তো চলুন বেশি কথা না বাড়িয়ে আজকের মূল কথা অস্ট্রেলিয়া স্টুডেন্ট ভিসা ২০২৪ নিয়ে লিখি। সবাই একটু মনোযগ সহকারে পড়ে নিন।
অস্ট্রেলিয়া স্টুডেন্ট ভিসা ২০২৪
অস্ট্রেলিয়া স্টুডেন্ট ভিসা ২০২৪ সালে ভিসা পেতে হলে আপনাকে ২৫ টির মতো কাগজ গুছাতে হবে। আর এই ২৫ টি কাগজ ৩ ভাগে বিভক্ত করে আমি নিচে লিখে দিচ্ছি। এই ৩ টি ভাগ করার কারণ আপনি আরটিকেলটি পরলেই বুঝতে পারবেন। তো চলুন যেনে নেই কি কি কাগজ প্রয়োজন।
অস্ট্রেলিয়া স্টুডেন্ট ভিসা Personal কাগজ পত্র
অস্ট্রেলিয়া স্টুডেন্ট ভিসা ২০২৪ সালে নিজস্ব কি কি কাগজপত্র লাগবে তা এখানে বলা আছে। সবাই একটু কষ্ট করে খাতায় লিখে নিন তাহলে কাগজ গুলো গুছাতে বেশি সমস্যা হবে না।
১। ssc and hsc and marksheet ঃ আপনি যদি SSC এবং HSC পাশ করে থাকেন তাহলে এই দুটি সার্টিফিকেটি আপনাকে কাছে রাখতে হবে।
২। IELTS or PTE Certificateঃ আপনাকে অবশ্যই IETS পরিক্ষা দিতে হবে। আপনি আপনার বিভাগিয় শহরের ব্রিটিস কাউন্সিলে যোগাযোগ করলেই তারা আপনাকে বাকিটা বুঝিয়ে দিবে।
৩। পাসপোর্টঃ IELTS এ পরিক্ষা দিতে হলে অবশ্যই আপনাকে পাসপোর্ট বানাতে হবে পাসপোর্ট ছাড়া কিন্তু IELTS এর পরিক্ষা দেওয়া যায় না। ই-পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে ২০২৪।
৪। NIDঃ এরপরে আপনার একটা ন্যাশনাল আইডি কার্ড থাকতে হবে। যারা HSC পাশ করেছেন তাদের কাছে তো NID কার্ড আছেই।
৫। poliche clearanceঃ এই ডকুমেন্ট টি অনেকেই বেশি গূরত্ব দেয় না। কিন্তু এটা অত্যান্ত জরুরি একটি কাগজ। তাই IELTS এ ভর্তি হয়েই সবার আগে আপনাকে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স এর জন্য আবেদন করতে হবে। পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট কিভাবে পাবো।
৬। family certificateঃ ফ্যামিলি সার্টিফিকেট এ আপনাকে আপনার পরিবারের সবার NID কার্ড আর যার NID কার্ড হয়নি তার জন্মনিবন্ধন সার্টিফিকেট দেখাতে হবে। আর আপনার বাবার অবশ্যই একটা পাসপোর্ট থাকতে হবে।
অস্ট্রেলিয়া স্টুডেন্ট ভিসা আপনার স্পন্সরের কাগজপত্র
অস্ট্রেলিয়া স্টুডেন্ট ভিসা ২০২৪ সালের স্পন্সর এর কাগজপত্র বলতে আমি বলতে চেয়েছি, আপনি যে অস্ট্রেলিয়াতে যাবেন এর খরচ কে দিচ্ছে আর সামনে কে খরচ বহন করবে। ধরুন আপনার বাবাও তো আপনার স্পন্সর হতে পারে। বেশির ভাগ তো বাবাই স্পন্সর। তাই নিচে যে কাগজ লাগবে তা মনে করতে পারেন আপনার বাবার। আর আপনাকে যদি অন্য কেউ সাহায্য করে তাহলে তার কাগজপত্র দিতে হবে আপনাকে।
১। স্পন্সর এর পাসপোর্টঃ এখানে স্পন্সর যদি আপনার বাবা হন তাহলে তো আর পাসপোর্ট দেওয়ার প্রয়োজন হবে না। কারণ আগেই পারশোনাল ডকুমেন্ট এর ভিতরে দেওয়া থাকবে।
২। টিন সার্টিফিকেটঃ আপনার বাবার টিন সার্টিফিকেট বানাতে হবে এটা অনলাইন থেকেই ডিরেক্ট বানিয়ে বের করা যায়। অনলাইনে একটু ঘাটাঘাটি করলেই বুঝতে পারবেন।
৩। ট্রেড লাইসেন্সঃ আপনার বাবা কিংবা আপনার স্পন্সর এর যদি কোন প্রকার নিজস্ব ব্যাবসায় থাকে তাহলে তার ব্যাবসার ট্রেড লাইসেন্স দেখাতে হবে।
৪। ব্যাংক স্টেটমেন্ট এবং সোল্ভেন্সিঃ ব্যাংক স্টেটমেন্ট নেওয়ার সময় অবশ্যই আপনাকে লক্ষ রাখতে হবে ব্যাংক একাউন্ট টি ৬ মাস মেয়াদি বা তার বেশি কিনা। কারণ ৬ মাসের নিচে হলে আপনাকে সাথে আরো অনেক কাগজ নিতে হবে। এই বিষয়ে আপনি একটা ব্যাংক এ গিয়ে কথা বললেই বেশি ভালো হবে।
৫। ফেমিলি মেম্বারদের NID কার্ড লাগবেঃ আপনার স্পন্সর যদি আপনার বাবা না হয়ে অন্য কেউ হয় এবং তার পরিবার থাকে। তাহলে তার পরিবারে সবার NID কার্ড এর কপি নিতে হবে।
৬। ফাইনালশিয়াল এফিডোফিডঃ অস্ট্রেলিয়া স্টুডেন্ট ভিসা ২০২৪ সালের আগেও এই সমস্যাটি দেখা দিয়েছে। অনেকেই ফাইনালশিয়াল এফিডোফিড নেওয়ার সময় ভূল করেন। তাই একজন উকিল এর কাছে জিজ্ঞেস করলেই বেশি ভালো হবে।
বিঃদ্রঃ মনে রাখবেন ফাইনালশিয়াল এফিডোফিড যত শক্তিশালী বানাতে পারবেন ততই অস্ট্রেলিয়া স্টুডেন্ট ভিসা ২০২৪ সালে ভিসা পেতে সুবিধা হবে।
৭। টেক্স এবং টেক্স রিটার্ন সার্টিফিকেটঃ আপনার স্পন্সর এর যে দেশের কোন টেক্স দিতে বাকি নেই তার একটি সার্টিফিকেট হলো টেক্স রিটার্ন সার্টিফিকেট।
৮। সোর্স অফ ফান্ডঃ আপনি কোথা থেকে ফান্ড পাচ্ছেন তার সাথে কি সম্পর্ক্য আপনার তার একটি প্রমাণ পত্র। আর কেনোই বা সে আপনা ফান্ড দিচ্ছে তারো একটা স্টেটমেন্ট লিখে তার কাছ থেকে ছবি সহ সিগ্নেচার করিয়ে নিতে হবে।
৭। সোর্শ অফ ইনকামঃ আপনার স্পন্সর কোথা থেকে টাকা পয়সা ইনকাম করে তার একটি দলিল জমা দিতে হবে ভিসা নিতে হলে। তাই এটিও আগে থেকে গুছিয়ে রাখতে হবে।
এই সব কাগজপত্র গুলো আপনি যদি একজন উকিল কে সাথে নিয়ে রেডি করেন তাহলে অনেক ভালো হবে। তা না হলে এই কাগজ গুলো রেডি করতে গিয়ে আপনি ভূল করে ফেলতে পারেন।
অস্ট্রেলিয়া স্টুডেন্ট ভিসা এপ্লাই করার পরে কোন কোন ডকুমেন্টস গুলো লাগবে
নিচের এই কাগজ গুলো পাবেন আপনি যখন কোন ভার্সিটি তে এপ্লাই করবেন। ভার্সিটিতে এপ্লাই করলে এবং ভার্সিটি আপনাকে চুজ করলেই এই কাগজ গুলো পাবেন।
১। ইউনিভার্সিটি ওফারলেটারঃ এই অফারলেটারটি পাবেন তারা যদি আপনার রেজাল্ট এবং IELTS বেন্ড স্কোর দেখে ভর্তি নিতে চান ইউনিভার্সিটিতে।
২। COE কনফর্মেশন অফ এনরোলমেন্টঃ আর এই কাগজটি পাবেন যখন আপনার ইউনিভার্সিটির প্রথম ৬ মাসের বা ১ সেমিস্টারের টিউশোন ফিস পরিশোধ করবেন।
এক্সট্রা বা Additional কাগজ পত্র
অস্ট্রেলিয়া স্টুডেন্ট ভিসা ২০২৪ সালে অস্ট্রেলিয়া যেতে হলে এই কাগজ গুলো চাইলে সাথে নিতেও পারেন আর ভালো না লাগলে নাও নিতে পারেন।
১। সেলস মেনুঃ এখানে সেলস মেনু একটা উদাহরণ। আমি এখানে বুঝাতে চেয়েছি আপনার বাবার যদি ব্যাবসায় থাকে তাহলে সেখানে কি রকম ব্যাবসা হয় এবং কত টাকার লেনেদেন হয় তার জন্য একটি সেলস মেনু বা রিসিট বানিয়ে রাখতে।
২। IELTS কোর্স এর সার্টিফিকেট
৩। এডমিশোন সার্টিফিকেট
৪। মেডিকেল এপোয়েন্টমেন্ট পিডিএফ
৫। ফিংগারপ্রিন্ট
৬। প্লেন টিকিট
অস্ট্রেলিয়া স্টুডেন্ট ভিসা খরচ ২০২৫
অস্ট্রেলিয়া স্টুডেন্ট ভিসা ২০২৪ সালের সম্পূর্ণ খরচ নির্ভর করে আপনার উপর। কারণ আপনি যদি ভালো ভাবে লেখাপড়া করেন এবং আপনাদের একাডেমিক রেজাল্ট ভালো থাকে। আর IELTS পরিক্ষা দিয়ে যদি ভালো একটা বেন্ড স্কোর উঠাতে পারেন। তাহলে আপনি খুব কম খরচের ভিতরেই অস্ট্রেলিয়া যেতে পারবেন। আমি নিচে কিছুটা ধারণ দিয়ে দিচ্ছি কত টাকা খরচ হতে পারে তার ব্যাপারে।
পারশোনাল কাগজপত্রঃ পারশোনাল কাগজপত্র যা যা লাগবে তা সব গুছাতে আপনার প্রায় ২০,০০০ টাকার মতো খরচ হবে। আপনার সার্টিফিকেট হতে শুরু করে পাসপোর্ট বানানো এবং পুলিশ ক্লিয়ারেন্স বানাতে এই টাকাটা লাগবে।
স্পন্সর কাগজপত্রঃ স্পন্সর এর কাগজপত্র বানাতে আপনার প্রায় ৬০০০০ টাকার মতো খরচ হবে। অস্ট্রেলিয়া স্টুডেন্ট ভিসা ২০২৪ সালে স্পন্সর এর কাগজ ছাড়া আপনি ভিসা পাবেন না। তাই আপনাকে স্পন্সর এর পাসপোর্ট সহ ট্রেড লাইসেন্স, ব্যাংক স্টেটমেন্ট, টিন সার্টিফিকেট ইত্যাদির জন্য টাকাটি খরচ হবে।
ভিসা এপ্লাই এর পরের কাগজপত্রঃ ভিসা এপ্লাই করার পরের যে কাগজ পত্র পাবেন তার জন্য কোন প্রকারের টাকা পয়সার প্রয়জন নেই। এগুলো আপনার ভার্সিটি দিবে।
টিউশন ফিঃ অস্ট্রেলিয়া স্টুডেন্ট ভিসা ২০২৪ সালের ভার্সিটির টিউশন ফিস মূলত আপনার উপর নির্ভরশীল। আপনার রেজাল্ট এবং IELTS স্কোর ভালো থাকে আপনি ৮০ থেকে ১০০% এর মতো স্কোলারশীপ পাবেন। এ ক্ষেত্রে আপনার টিউশন ফি ১,৫০,০০০ টাকার মতো আসবে।
অস্ট্রেলিয়া স্টুডেন্ট ভিসা ২০২৪ ফিঃ স্টুডেন্ট ভিসা ফি এখন ১০,০০০ টাকার মতো। এই টাকাটাও আপনারা উপরের টাকার সাথে যোগ করে নিন।
প্লেনের টিকিটিঃ প্লেনের টিকিট বেশি টাকা লাগে না। আপনারা একটু নেটে বা আমার দেওয়া লিঙ্কে ক্লিক করে গিয়ে দেখে নিতে পারেন। click here.
অস্ট্রেলিয়া স্টুডেন্ট ভিসা ২০২৪ সালে স্টুডেন্ট ভিসা খরচ কত টাকা হবে তা আশা করি বুঝতে পেরেছেন। এই নিয়ে আর কোন প্রশ্ন থাকলে অবশ্যই কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করবেন।
অস্ট্রেলিয়ায় বেতন কত
আপনি যদি অস্ট্রেলিয়া স্টুডেন্ট ভিসা ২০২৪ সালে স্টুডেন্ট ভিসায় অস্ট্রেলিয়া যেতে চান। তাহলে আপনার আগে যানা উচিত আপনি অস্ট্রেলিয়া যেয়ে কি কি কাজ করার পারমিশন পাবেন।
আপনি অস্ট্রেলিয়ায় এসে উবার ডেলিভারির কাজ করার পাশাপাশি রেস্টুরেন্টেও কাজ করতে পারবেন। এছারাও আরো কিছু কাজ করতে পারবেন। যেমনঃ বারে কাজ করা।
আপনি যদি শুধু উবার ডেলিভারির কাজ করেন তাহলে আপনি প্রতিদিন প্রায় ৮০০০ টাকা থেকে ১০০০০ টাকার মতো ইনকাম করতে পারবেন। মাসে দেখা যায় ৮০০০ টাকা করে হলেও ২,৪০,০০০ টাকা ইনকাম হয়।
এখানে দেখা যায় একটা খরচও আছে। খরচটি হলো উবারের জন্য যে ছাইকেল টি আপনি নিবেন তার প্রতি সপ্তাহে খরচ আছে ১০,০০০ টাকা। মাসে ৪ টি সপ্তাহ হলে প্রতি মাসে প্রায় ৪০০০০ হাজার টাকার মতো খরচ হবে। তাহলে দেখা যায় আপনার মূল ইনকাম ২,০০,০০০ টাকা।
অস্ট্রেলিয়া থাকা খাওয়ার খরচ কত
অস্ট্রেলিয়া স্টুডেন্ট ভিসা ২০২৪ সালে অস্ট্রেলিয়া থাকা খাওয়ার খরচ আগের তুলনায় বেরে গেছে। এখন আপনার একমাসের থাকা খাওয়ার খরচ হবে প্রায় ৭০,০০০ টাকার মতো। হ্যা অস্ট্রেলিয়ায় থাকা খাওয়ার খরচ এতোই বেশি।
আমি একটা কাজ করি থাকা খাওয়ার খরচ প্রতিদিনে ইনকামের সাথে তুলনা করি। প্রতিদিনের ইনকাম হলো ৮০০০ টাকা। আর প্রতিদিনের থাকা খাওয়ার খরচ হলো ২০০০ টাকার মতো। এখন তো তাহলে বুঝলেন থাকতে খেতে কত টাকা খরচ হতে পারে।
অস্ট্রেলিয়ায় কি নিজের সেমিস্টার ফি নিজেই দিতে পারবো
আমি যদি বলি তাহলে অস্ট্রেলিয়ায় টিউশন ফি দেওয়া একটু কষ্টকর। আপনি যদি অস্ট্রেলিয়ার টিউশন ফি উবার করে দিতে চান তাহলে আপনাকে বলি এটা পারবেন না। উবার করে যে টাকা ইনকাম হয় তা দিয়ে টিউশন ফি দেওয়া সম্ভব না।
আপনাকে টিউশন ফি দিতে হলে অবশ্যই চাকরি করতে হবে। তাও আবার দুইটা। অনেকে আবার ১ টাইমে চাকরি আর অন্য টাইমে উবার দিয়ে চালিয়ে দেয়। এরকম করলে আপনি আপনার ভার্সিটির টিউশন ফি দিতে পারবেন। এছাড়া সম্ভব নয়।
সর্বশেষ, আশা করি অস্ট্রেলিয়া স্টুডেন্ট ভিসা ২০২৪ সালে কিভাবে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হবে তা ভালো ভাবে বুঝতে পেরেছেন। যদি আজকের এই পোস্ট নিয়ে কোন প্রকারের প্রশ্ন থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করবেন। ধন্যবাদ সবাইকে পোষ্ট টি শেষ পর্যন্ত দেখার জন্য।
FAQ ঃ অস্ট্রেলিয়া স্টুডেন্ট ভিসা ২০২৪
বাংলাদেশ থেকে অস্ট্রেলিয়া যেতে কত সময় লাগে
উত্তরঃ বাংলাদেশ থেকে অস্ট্রেলিয়া যেতে ৯ ঘন্টা ৩০ মিনিট এর মতো সময় লাগতে পারে।
বাংলাদেশ থেকে অস্ট্রেলিয়ার দূরত্ব কত
উত্তরঃ বাংলাদেশ থেকে অস্ট্রেলিয়ার দূরত্ব হলো ৭,১৭১ কিলোমিটার।
Apply student visa